সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাটের চাষ নিশ্চিতকরণ ও চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত পাট বীজ সরবরাহ ঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে পাটের মজুদ ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় স্টেকহোল্ডাদের সাথে আলোচনাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হোসেন আলী খোন্দকার, বাংলাদেশ পাট এসোসিয়েশনের সি. ভাইস চেয়ারম্যান আরজু মিয়া,বাংলাদেশ জুট মিলস্ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, বিজেএসএ, পাটচাষি সমিতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মবর্হিভূত কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যহত থাকবে।
তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে ইতোমধ্য একটি যৌথ রূপরেখা তৈরি করেছে ।
সম্প্রতি, দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরীর কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে । লাইসেন্স বিহীন অসাধু ব্যবসায়ীগণ,কাঁচাপাটের ডিলার/আড়তদারগণ ১০০০ মণের বেশী কাঁচাপাট ০১ (এক) মাসের বেশীসময় ধরে মজুদ করতে পারবে না এছাড়াও লাইসেন্স বিহীন কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পাট অধিদপ্তর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ।